মসজিদটির একেবারেই যখন প্রাথমিক অবস্থা তখন আমি, আনোয়ার (মুজাহিদ) মুসল্লিদের জন্য মাটি দিয়ে ঢিলা তৈরী করতাম। মসজিদের মুসল্লিদের হাজতখানাগুলো (টয়লেট, পস্রাবখানা) প্রায়ই সময় আমি, আনোয়ার, তাহের কাকা (রহ) পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতাম। টিউবওয়েল চিপে মুসল্লিদেরকে ওযু করার ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। একবারতো বন্দর কর্তৃপক্ষ মসজিদটি উচ্ছেদের জন্য পদক্ষেপও গ্রহণ করে। কিন্তু মুসল্লিদের অনুরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং সদয় হয়।
এই বেড়ার মসজিদটিতে সাপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার মাগরিবের নামাযের পড়ে হালকায়ে জিকির হতো। প্রায় ৩ বছরের (একটু কম হতে পারে) মতো আমি এই হালকার ইমাম ছিলাম। কতো রাত যে বাসায় না গিয়ে আমি আর আনোয়ার ভাই মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েছি তার হিসাব নাই। এই যে আমাদের মতো গুণাহগারদের দ্বীনি কাজে সম্পৃক্ত রাখা, মসজিদের খেদমতে উৎসাহী করে গড়ে তুলা এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মাওঃ নুরুল আনসার খতিব সাহেবের ছোহবতে থাকার কারণেই। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত উনাকে দেখে আসছি এশার জামাতের পরে কিছু সময় তালিম করে মানুষকে মাসয়ালা-মাসায়েল শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে। এখনো চলছে এই ধারাবাহিকতা।
(চলবে)
No comments:
Post a Comment