Wednesday, October 1, 2025

পন্য বা সেবা বিক্রিতে বিজনেস পেইজ এর ভূমিকা

প্রথমেই বোঝা দরকার, বিজনেস পেইজ কী? এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগল মাই বিজনেস, কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি আপনার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, পণ্য/সেবার ছবি, দাম, অফার, রিভিউ এবং যোগাযোগের উপায় শেয়ার করতে পারেন। এটি একদিকে যেমন আপনার ব্যবসার ডিজিটাল উইন্ডো, অন্যদিকে এটি গ্রাহকদের সঙ্গে একটি নিরবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক তৈরির মাধ্যম।

বর্তমান সময়ে ব্যবসার সফলতা অনেকাংশেই নির্ভর করে ডিজিটাল উপস্থিতির উপর। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার এই সময়ে একটি কার্যকরী ও কাস্টমার-বান্ধব বিজনেস পেইজ ব্যবসার বিক্রি বৃদ্ধি ও ব্র্যান্ড সচেতনতা গড়ার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ব্যবসা ছোট হোক বা বড়, তা আপনার পণ্য বা সেবা সরাসরি টার্গেটেড কাস্টমারের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করে যদি তা সঠিকভাবে বিজনেস পেইজ এর দ্বারা পরিচালনা করা হয়। 

বিজনেস পেইজ বিক্রি বৃদ্ধি ও আপনার সেবা গ্রাহককে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কয়েকটি কারণে। 

প্রথমত, এটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর (টার্গেটেড অডিয়েন্স) নিকট সহজে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ধরুন আপনি শুধুমাত্র নারীদের জন্য হ্যান্ডব্যাগ বিক্রি করেন। ফেসবুক বিজনেস পেইজে আপনি ১৮-৩৫ বছর বয়সী নারীদের লক্ষ্য করে পোস্ট, বিজ্ঞাপন এবং ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন। এতে অপ্রয়োজনীয় দর্শকদের সময় নষ্ট না করে আপনি সরাসরি সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে যুক্ত হতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, একটি ভালো বিজনেস পেইজ কাস্টমার ট্রাস্ট তৈরি করে। নিয়মিত পণ্যের ছবি, ভিডিও, কাস্টমার রিভিউ ও কাস্টমার কেয়ার আপডেট দিলে ক্রেতারা আপনার ব্র্যান্ডকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। ফলে, তারা বারবার আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী হয় এবং পরিচিতজনদেরও পরামর্শ দেয়।

তৃতীয়ত, বিজনেস পেইজের মাধ্যমে আপনি অফার, ডিসকাউন্ট, নতুন পণ্যের আপডেট ও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা খুব দ্রুত ও সহজভাবে হাজারো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন, যা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিংয়ের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর ও ব্যয় সাশ্রয়ী।

তাছাড়া, পেইজের ইনসাইটস বা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন কোন পণ্যে বেশি আগ্রহ, কোন বয়সের মানুষ বেশি দেখছেন, কোন পোস্ট থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে ইত্যাদি। এতে আপনি আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আরও কার্যকরভাবে সাজাতে পারবেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ। বিজনেস পেইজে ম্যাসেঞ্জার, কমেন্ট বা ইনবক্সের মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই প্রশ্ন করতে পারে, মতামত দিতে পারে এবং আপনি তাদের জিজ্ঞাসার দ্রুত উত্তর দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেন।

সবশেষে বলা যায়, একটি পেশাদার বিজনেস পেইজ মানে শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল ঠিকানা নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী মার্কেটিং টুল যা আপনাকে সঠিক কাস্টমার খুঁজে দিতে, বিক্রি বাড়াতে এবং ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা গড়তে সাহায্য করে। তাই ব্যবসা সফল করতে চাইলে আজই একটি বিজনেস পেইজ তৈরি করুন, নিয়মিত আপডেট করুন এবং আপনার টার্গেট কাস্টমারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তবেই ব্যবসার বিক্রি বাড়বে, এবং ব্র্যান্ড গড়ে উঠবে দৃঢ় ভিত্তির উপর।

📣 বিজনেস পেইজ তৈরীতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

Jannat It BD  https://www.facebook.com/jannatit1983

📞 মোবাইল ও হোয়াটসএ্যাপ :01611159808

ইমেইল- mdkhurchiedalam@gmail.com

📱 ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/jannatit1983





Wednesday, September 6, 2023

স্মৃতির গভীরে দু’টি কথা মোঃ খুরশীদ আলম

 


মসজিদটির একেবারেই যখন প্রাথমিক অবস্থা তখন আমি, আনোয়ার (মুজাহিদ) মুসল্লিদের জন্য মাটি দিয়ে ঢিলা তৈরী করতাম। মসজিদের মুসল্লিদের হাজতখানাগুলো (টয়লেট, পস্রাবখানা) প্রায়ই সময় আমি, আনোয়ার, তাহের কাকা (রহ) পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতাম। টিউবওয়েল চিপে মুসল্লিদেরকে ওযু করার ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। একবারতো বন্দর কর্তৃপক্ষ মসজিদটি উচ্ছেদের জন্য পদক্ষেপও গ্রহণ করে। কিন্তু মুসল্লিদের অনুরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং সদয় হয়।

 এই বেড়ার মসজিদটিতে সাপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার মাগরিবের নামাযের পড়ে হালকায়ে জিকির হতো। প্রায় ৩ বছরের (একটু কম হতে পারে) মতো আমি এই হালকার ইমাম ছিলাম। কতো রাত যে বাসায় না গিয়ে আমি আর আনোয়ার ভাই মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েছি তার হিসাব নাই। এই যে আমাদের মতো গুণাহগারদের দ্বীনি কাজে সম্পৃক্ত রাখা, মসজিদের খেদমতে উৎসাহী করে গড়ে তুলা এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মাওঃ নুরুল আনসার খতিব সাহেবের ছোহবতে থাকার কারণেই। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত উনাকে দেখে আসছি এশার জামাতের পরে কিছু সময় তালিম করে মানুষকে মাসয়ালা-মাসায়েল শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে। এখনো চলছে এই ধারাবাহিকতা। 

(চলবে)

Tuesday, September 5, 2023

স্মৃতির গভীরে দু’টি কথা মোঃ খুরশীদ আলম



পর্ব-০২

বলছিলাম জামে মসজিদের কথা। মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর যখন স্থাপন করা হয় সেই সময় হতে এই মসজিদেই সালাত আদায় করতাম। সেই সময় মসজিদের প্রারম্ভিক অবস্থায় একদিন বৃষ্টির দিনে বিদ্যুতাড়িত হয়ে ইন্তেকাল করেন মাওঃ আব্বাস (রহ)। ইনি ছিলেন সেই সময়ের এবং বর্তমান খতিব সাহেবের ছোট ভাই। 

মসজিদটির পিছনে হযরতের পুরো পরিবারের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিশেষ করে মাওঃ আব্বাস (রহ), মাও: নুরুল আনছার সাহেব (দা:বা), মাও: আবু বক্কর ইত্যদির নাম না বললেই নয়। নাম ধরে ধরে সবার কথা মনে না পড়লেও অনেকের কথাই মনে পড়ে। মরহুম জনাব আবু তাহের (রহ) প্রকাশ পটিয়ার বা পইট্টার কাকা যার ঋণ কোন দিন শোধ করা সম্ভব নয়। মাও: নুর মোহাম্মদ (রহ), জনাব ছিদ্দিক সাহেব (বন্দরের একজন কর্মচারী বুজুর্গ ব্যক্তি), মাওঃ ইসমাইল বুখারাী, মাও: আবদুর রহিম, মাও: ইসমাইল (রেলওয়ে একাডেমির ইমাম সাহেব), মাও: মুসা (তখন সে ছাত্র), মাও: ছানাউল্লাহ নূরী (সাবেক খতিব, এসি মসজিদ, হালিশহর), হাফেজ ওসমান, বক্কর ভাই, নুরুল আলম ছিন্টু, ফরহাদ হোসেন পিন্টু, শাহাদাত (৪নং রোড), শাহিন, শাহাদাত, মনোয়ার, খোরশেদ সাহেব, আবদুর রশিদ এবং আমি গুণাহগার ছিলাম এই মসজিদের সাথে সরাসরি শারিরীক ও মানসিক শ্রম দেয়ায় সবার আগে। 

 যাদের নাম উল্লেখ করা হলো এনারা সবাই এই মসজিদের প্রাণ ছিলেন। একজনের কথা না বললে তার প্রতি অবিচার করা হবে। তিনি হচ্ছেন মরহুম মিন্টু কাকা (লাতু, আলী ও রনির দুলাভাই)। প্রত্যেক মাসে নতুন মার্কেটের বিদ্যুৎ বিল নেয়ার সময় মসজিদের জন্যও তিনি অর্থ উত্তোলন করতেন। তার এই একই কাজ নিয়মমাফিক করে যেতেন মরহুম ছিদ্দিক কাকা ও মরহুম কবির মিয়া যাকে প্রায় মানুষ কবির বুইজ্জা বলে ডাকতেন। প্রত্যেক ওয়াক্তেই জামাতের সাথে একত্রিত হয়ে সালাত আদায় করা হতো। জনাব ছিদ্দিক সাহেব  ছিলেন বুজুর্গ ব্যক্তি। নামাযে খুব ধীর গতি ছিল এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সালাত আদায় করতেন। সেই সময় বড্ডা হুজুর বা বড় হুজুর নামের ফেনীর একজন আলেম ছিলেন যিনি মেইন রোডের পাশে মাইক লাগিয়ে “দান কারীদের মাতা-পিতা সুখে রাখবেন আল্লাহ কবরে, নুরের টুপী মাথায় দিয়া উঠাইবেন কাল হাশরে” এই গজল গেয়ে টাকা উঠাতেন। আমি আর হাফেজ উসমান বিশ্বরোডের যাত্রীবাহি বাসগুলোতে উঠে মসজিদের জন্য টাকা তুলতাম। সেই ভোরে আমরা জেগে উঠতাম এবং একে অপরকে ডেকে নামাযে নিয়ে আসতাম এবং এই মসজিদ থেকে অনেক দূরে আমাদের বাসা হওয়া স্বত্বেও এখানেই চলে আসতাম। আমি এখানে অনেকবার আযান দিয়েছি এবং নামাযও পড়িয়েছি দু’এক বার। পটিয়ার কাকুর ছিল একামত দেয়ার প্রতি খুব ঝোঁক। তিনি ছাড়া আর কেউ একামত দিতে পারতেন না। কারণ তিনি সব সময় নামাযের অনেক আগে মসজিদে আসতেন, মসজিদ পরিস্কার করতেন, আযান দিতেন এবং একামত দিতেন। 

(চলবে) 


 

Thursday, August 24, 2023


 

সাহায্যের হাত বাড়াই :

J&J Associate আপনার পাশে, আপনার ব্যবসার পাশে আছে সবসময়। আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত থাকেন তবে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আছি আপনার পাশে।

পন্য বা সেবা বিক্রিতে বিজনেস পেইজ এর ভূমিকা

প্রথমেই বোঝা দরকার, বিজনেস পেইজ কী? এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগল মাই বিজনেস, কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইট, যেখানে আপ...